HEADLINE
ডেঙ্গু প্রতিরোধে একমাত্র উপায় জনসচেতনতা কবিতা: শরৎ মাখা শারদীয়া কেশবপুরে স্কুল ছাত্রীকে উত্যক্ত করায় যুবককে কারাদন্ড পাটকেলঘাটায় ছেলেকে মারধরের প্রতিবাদ করায় পিতাকে পি’টিয়ে হ’ত্যা ক্যান্সারে আক্রান্ত জাহানারা বাঁচতে চায় সাতক্ষীরায় পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা, অভিযুক্ত কারাগারে পড়াশোনায় ভালো করার জন্য ৫টি কার্যকরী গাইড লাইন দেশকে অন্ধকারে ঠেলে দিতে না চাইলে আবারও নৌকায় ভোট দিন : সাতক্ষীরায় জনসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সামাজিক কাজে বিশেষ অবদান রাখায় ঝাউডাঙ্গা সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশনকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান শিশুর প্রথম এক বছর: শিক্ষার ভিত্তি স্থাপন
শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন

সাতক্ষীরায় ৫৮ ও ৬৮ বছর বয়সী দম্পতির বিয়ে সম্পন্ন

নিজস্ব প্রতিনিধি / ৩৬৭
প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৪ মার্চ, ২০২২

হামিদা বেগমের বয়স এখন ৫৮ বছর। ছোট বোনের বিয়ে হয়ে গেলে একা হয়ে যান হামিদা। তবে নিজে বিয়ে করতে রাজি ছিলেন না। শেষে বয়সে হামিদা বেগম বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন। গ্রামবাসীর আয়োজনে ৬৮ বছর বয়সী মোকছেদ আলী গাজীর সঙ্গে তার বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। 

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার তারালী ইউনিয়নের বাথুয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত শহর আলী গাজীর মেয়ে হামিদা বেগম। দিনমজুরের কাজ করে কোনো মতে চলতেন তিনি। বর মোকছেদ আলী গাজী একই উপজেলার নলতা ইউনিয়নের ঘোনা গ্রামের মৃত ছবেদ আলী গাজীর ছেলে। 

তারালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এনামুল হক ছোট বলেন, হামিদা আপার বয়স ভোটার আইডি কার্ডে ৫০ হলেও বাস্তাবে ৫৭-৫৮ বছর হবে। তিনি খুব গরিব, তবে ধর্মভীরু ও চরিত্রবান। এলাকার মানুষ কেউ কোনোদিন তার নামে কোনো বদনাম দিতে পারেনি। কেউ কখনো কোনো অভিযোগও দেয়নি তার বিরুদ্ধে। তবে আপা বিয়ে করতে রাজি ছিলেন না। আসলে কী কারণে তিনি বিয়ে করতে চাইতেন না সেটি কেউ কখনো জানতেও পারেননি।

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি হামিদা আপাকে কে যেন বলেছেন বিয়ে না করলে বেহেশতে যেতে পারবে না। তখন আপা বিয়ে করতে রাজি হন। এই খবর মুহূর্তের মধ্যেই গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামবাসী সবাই মিলে পাত্র খুঁজতে শুরু করে। দেখাশুনার একপর্যায়ে মোকছেদ আলী গাজী মিলে যায়। পাত্র-পাত্রী দুইজন দুইজনকে পছন্দ করলে বিয়ের দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়। শুক্রবার (৪ মার্চ) দুপুরে জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে গ্রামবাসীর আয়োজনে বিয়ে দেওয়া হয় তাদের। 

ইনামুল হক ছোট বলেন, বিয়েতে গ্রামবাসী সবাই টাকা খরচ করেছেন। গ্রামের পাঁচ শতাধিক মানুষ উপস্থিত হয় বিয়ের আয়োজনে। খাওয়া দাওয়া হয়। আমিও ছিলাম বিয়ের আয়োজকদের একজন। বরযাত্রী এসেছিল ২০ জন। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলে নতুন বর-কনেকে বিদায় দিয়ে গ্রামবাসী বাড়িতে ফিরে যায়।

জানা গেছে, হামিদা বেগমের এটি প্রথম বিবাহ। অন্যদিকে পাত্র মোকছেদ আলী গাজীর দ্বিতীয় বিবাহ। মোকছেদ আলী গাজীর প্রথম স্ত্রী মারা গেছেন অনেক আগে। প্রথম স্ত্রীর দুই ছেলে রয়েছে। তারা বিবাহিত, নিজেদের আলাদা সংসার। ২০ জন আত্মীয়-স্বজন ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিয়ের আসরে হাজির হন মোকছেদ আলী গাজী। জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে নতুন বউকে নিয়ে ঘরে ফেরেন তিনি।


এই শ্রেণীর আরো সংবাদ