HEADLINE
লিবিয়ায় প্রবাসীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি, অভিযোগ করে বিপাকে পরিবার সাতক্ষীরায় প্রায় ৩ কোটি টাকার এলএসডি ও হেরোইনসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে সাড়ে ৩শ’ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ইছামতি নদীতে জেলের জালে ধরা পড়লো ৩শ কেজির শাপলা মাছ সা’পে কা’মড়ানোর ১৩ দিন পর সাতক্ষীরায় খামার ব্যবসায়ীর মৃ’ত্যু সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাড়াতে হবে নারীর ভূমিকা সাতক্ষীরায় বিপুল পরিমান জন্মনিয়ন্ত্রণ ঔষধ জব্দ, আটক ২ আব্দুল মোতালেব ছিলেন সাংবাদিকতার এক উজ্জ্বল নক্ষত্র সুন্দরবনে পর্যটকসহ সকল ধরনের প্রবেশ ৩ মাসের জন্য বন্ধ সাতক্ষীরা পৌর মেয়র চিশতীকে দায়িত্বভার বুঝিয়ে দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
মঙ্গলবার, ০৬ জুন ২০২৩, ১০:৫৩ অপরাহ্ন

সাতক্ষীরায় টয়লেটের ভিতর থেকে নবজাতকের মৃতদেহ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিনিধি / ৬০৩
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় খানপুর গ্রামের একটি টয়লেটের ভিতর থেকে সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া এক নবজাতকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। মঙ্গলবার (২২শে ফেব্রুয়ারী) দুপুরে উপজেলার খানপুর বাজারের দক্ষিণপাশের একটি টয়লেট থেকে নবজাতকের মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় নিহত নবজাতকের মা খানপুরের গ্রামের রইচউদ্দীনের কিশোরী মেয়ে মাছুরা খাতুন (১৭) (মানষিক প্রতিবন্ধী) ও নবজাতকের নানী শহিদা খাতুনকে (৫০) আটকিয়ে রেখেছে স্থানীয়রা।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার দুপুর দুইটার দিকে নবজাতকটি ভূমিষ্ঠ হয়। এসময় নবজাতক সন্তানটির মা ও নানী শহিদা টয়লেটের ভিতরে ফেলে দেয়। তবে টয়লেটের আশেপাশে রক্তপাত দেখে আমাদের সন্দেহ হলে স্থানীয় ইউপি সদস্যদের অবগত করি।

এব্যাপারে মহিলা ইউপি সদস্য রুমা আক্তার জানান, স্থানীয় কয়েকজন মহিলার তথ্যের ভিত্তিতে আমি টয়লেটের পাশে যায়। ওইসময় নবজাতকের নানীকে জিজ্ঞাসা করি বাচ্চা কোথায়? তখন নবজাতকের নানী জানান নবজাতক টয়লেটের ভিতরে। বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত আমি টয়লেট থেকে নবজাতককে উদ্ধার করি। ততোক্ষণে নবজাতকটি মারা যায়।

ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, পরিবারটি অত্যন্ত গরিব। পরিবারের ৫জন মানুষের ভোরণপোষণ যোগান ৭২বছর বয়সী রইচউদ্দীন। পরিবারের দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে বছর ছয়েক আগে জনৈক এক ব্যক্তি খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরী মাছুরাকে ধর্ষণ করে। এতে করে কিশোরী মাছুরা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেয়। ওই ঘটনার ৬বছর পর কে-বা কারা শিশুটির দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। তবে এঘটনায় যারা জড়িত হোকনা কেন তাদেরকে আইনের আওতায় এতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খানপুরের গ্রামের হতদারিদ্র রইচউদ্দীনের মেয়ে জন্মলগ্ন থেকে মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী। এর আগেও কিশোরী মাছুরার বয়স যখন ১১বছর ছিল সেসময় পাশ্ববর্তী খানপুর গ্রামের গোলাবাড়ি এলাকার মৃত জাহা বকস্ আলীর ছেলে আব্দুস সাত্তার (৪৫) খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরী মাছুরাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এতে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে কিশোরী মাছুরা একটা ছেলে সন্তানের জন্ম দেয়। সে সন্তানের বয়স আজ ৫বছর।  তবে আজকের এঘটনায় কারা মৃত নবজাতকটির পিতা সেটা সমন্ধে কোনকিছু বলতে পারেননি স্থানীয়রা। তবে পরিবারটির দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে যারা এ অপকর্মে লিপ্ত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন স্থানীয়রা।

এব্যাপারে নিহত নবজাতকটির নানী শহিদা খাতুন জানান, দুপুর দুইটার দিকে নবজাতকটি টয়লেটে ভূমিষ্ঠ হয়ে টয়লেটের ভিতরে চলে যায়। পরবর্তীতে আমার মেয়ে আমাকে জানালেও লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি আমরা কাউকে জানায়নি। কেননা, বছর ছয়েক আগে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে পাশ্ববর্তী আব্দুস সাত্তার আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে। এঘটনায় আমার মেয়ে ওইসময় অন্তঃসত্ত্বা হয়ে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেয়। এবিষয়ে একটি মামলা করলে আদালত আমার মেয়েকে স্ত্রীর অধিকার দিতে সাত্তারকে নির্দেশনা দেয়। তবে আজ পর্যন্ত আমার মেয়ে তার স্ত্রীর অধিকার বুঝে পায়নি। একারনে আজকের এঘটনাটি আমরা পারিবারিক ভাবে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম।

এবিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার এসআই শাহজালাল বলেন, আমি ঘটনাস্থলে রয়েছি। বিষয়টি সমন্ধে অনুসন্ধান চলছে। বিস্তারিত পরে জানানো যাবে।


এই শ্রেণীর আরো সংবাদ