HEADLINE
রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় একদিনেই সাতক্ষীরায় পেঁয়াজের দাম দ্বিগুন সাতক্ষীরায় ফের একই পরিবারের ৪ জনকে অজ্ঞান করে সর্বস্ব লুট আসুন সবাই মিলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে সহিংসতা দূর করি সাতক্ষীরায় ১৫টি যানবাহন ও ৬টি মুদি দোকানে জরিমানা সরসকাটি দাখিল মাদ্রাসায় পাতানো নিয়োগ বোর্ড সম্পন্ন দক্ষিণ ফিংড়িতে “শিশু যৌন নির্যাতন ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে তারুণ্য” শীর্ষক পথনাটক সরসকাটি দাখিল মাদ্রাসায় নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ অস্থিতিশীলতার দিকে বর্তমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশ যুবলীগের অঙ্গীকার আসাদুজ্জামান বাবু এমপি হলে সকল মানুষ পাবে উপকার সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই ভারতীয় নাগরিক নিহত, আহত ১
রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:০৬ অপরাহ্ন

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার প্রাসঙ্গিকতা

বিপ্লব মজুমদার / ৩৫২
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৩

বিপ্লব মজুমদার: মানুষের শারীরিক প্রতিবন্ধীতা তার স্বপ্ন জয়ের পথে কখনোই বাঁধা সৃষ্টি করতে পারেনা। তেমনি বয়সের ফ্রেম কোনো যোগ্যতা ও দক্ষতার পথে বাঁধা হতে পারে না। বয়স যদি যোগ্যতা প্রমাণের মাপকাঠি হতো তাহলে তাহলে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য কখনো কবি হতে পারতেন না।ক্ষুদিরাম দেশপ্রেমিক হয়ে উঠতে পারতেন না।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করা উচিত কিনা? এ বিষয়ে নানান জনের নানান মতভেদ রয়েছে। কিন্তু দেশের অধিকাংশ শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থী ৩৫ বাস্তবায়নের পক্ষে। পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ থেকে শুরু করে তারও বেশি।শুধু পাকিস্তান ব্যতীত। আমরা দেশের উন্নয়নে বিদেশি উন্নত রাষ্ট্রকে অনুসরণ করি অথচ সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সের ক্ষেত্রে বোধ হয় পাকিস্তানকে অনুসরণ করা হয়।বিষয়টি ভাবতেই যেন হাসি লাগে বৈকি!

একটা যৌক্তিক আন্দোলন যা দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে চলে আসছে সেটা হলো সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করা।এটা যুব সমাজের নায্য দাবি, প্রণের দাবি। জীবনের দীর্ঘ সময় নিয়ে অর্জিত সার্টিফিকেটের মৃত্যু ক্ষণ যদি আগে থেকেই ঠিক করে দেওয়া হয়,তাহলে এটা অর্জনের কি খুব দরকার ছিল?? এটা তো কোনো শিশুর জন্মের আগেই তার মৃত্যু ক্ষণ নির্ধারন করারই সামিল। সরকারি চাকরিকে এতটা লোভনীয় না করে বেসরকারি খাতকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে এ খাতকেও লোভনীয় করে তুলতে হতো।তাহলে একদিকে বেকার যেমন কমতো তেমন দেশের সার্বিক গতিশীলতা আরো বৃদ্ধি পেতো।চাকরিতে প্রবেশের বয়স যদি ৩৫ কিংবা এটা তুলে দেওয়া যেতো তাহলে মেধাবী যুবক ৩০ এর ঘড়ি ধরে বকের মতো মাছরূপী চাকরিকে পাওয়ার আশায় কালক্ষেপণ না করে মেধা শক্তি ও সৃজনশীলতার পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটাতে পারতো।

চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধি করলে নাকি বেকারত্ব বেড়ে যাবে, এমনটা বেশ শোনা যাচ্ছে। কিন্তু কথা হলো এখন তো সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ বছর করা আছে, তাই বলে কি বেকারত্ব শূন্যের কোঠায়?? কত বেকারের জীবন যে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে তার কোনো পরিসংখ্যান খাতার খতিয়ানে লিপিবদ্ধ নেই।বরং বেকারত্ব রং বদলিয়ে ছদ্ম বেকারে রূপ নিচ্ছে মাত্র। যেমন কৃষিতে ছদ্ম বেকার এর বড় উদাহরণ। আমাকে যদি বলে দেওয়া হয় আগামী তিন দিন পর আমার মৃত্যু হবে।এটা জানার পর আমার বুদ্ধি, আমার উদ্যম, আমার মনোযোগ, আমার সৃজনশীলতা সবকিছু সব হ্রাস পাবে।আর যদি আমাকে জানিয়ে দেওয়া হয় তোমার আয়ু শতবছর তাহলে আমার পরিকল্পনায় যেমন নতুনত্ব সৃষ্টি হবে,উদ্যমে তেমন দম বাড়বে,সৃজনশীলতার গতি হবে ত্রিমুখী। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোটা ঠিক তেমনি। হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ তরুণ তরুণীর মনে আশার সঞ্চার হবে।আর আশার সঞ্চারই নব নব আবিষ্কার ও সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে। স্বপ্ন দেখতে গেলে সময় দরকার।বাঁচতে গেলে আয়ু দরকার। সেই সময় ও আয়ুর অনুরূপ হলো চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধি। দেশের তরুণ সমাজের যৌক্তিক দাবি পূরণের এখনই সময় । উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমরা উন্নত আদর্শকে যখন মানদণ্ড হিসাবে গ্রহণ করতে পারি,তাহলে ৩৫ কে কেনো পারবো না? চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি। দেশের গড় আয়ু বৃদ্ধি যখন নব নব আশার সঞ্চার করে তবে ৩০ এর শিকলে বাঁধা পড়ে বেড়ির ভূষণ কেনো গায়ে জড়াবো!!

লেখক: বিপ্লব মজুমদার
আশাশুনি, সাতক্ষীরা


এই শ্রেণীর আরো সংবাদ