HEADLINE
কবিতা: উন্নয়নের শপিংমল বাংলাদেশি কমিউনিটি ইন সাইপ্রাসের নতুন কমিটি ঘোষণা পাঁচ টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটি, ভ্যান চালকের ঘুষিতে যাত্রীর মৃত্যু ভোমরা বন্দরে পেঁয়াজ মজুদ রাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে তিন ব্যবসায়ীকে জরিমানা সাতক্ষীরা কারাগারে আসামির মৃত্যু! ঝাউডাঙ্গায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কাভার্ড ভ্যানে ধাক্কা, বাসের ১০ যাত্রী আহত কলারোয়া ফুটবল মাঠে আনন্দ মেলার নামে চলছে অবৈধ লটারির রমরমা বাণিজ্য! কলারোয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত সাতক্ষীরার নলতা শরীফে ৫৯ তম বার্ষিক ওরছ শুরু ৯ ফেব্রুয়ারি জনগণের ক্ষতি করে কোনো কাজ করা যাবে না- ঝাউডাঙ্গায় বেত্রবতী নদী খনন কাজ পরিদর্শনে এমপি রবি
রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩, ০৮:৪৯ অপরাহ্ন

শ্যামনগর হাসপাতালে ৩৩জন ডাক্তারের স্থলে মাত্র ৮জন: দুর্ভভোগে শ্যামনগরবাসি

আব্দুল কাদের, শ্যামনগর / ৩৫৬
প্রকাশের সময় : রবিবার, ৪ জুলাই, ২০২১

শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি নানা সমস্যায় জর্জরিত। বতর্মান সময় দেশে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় স্বাস্থ্যবিভাগ হিমসিম খাচ্ছে। ঠিক সেই সময় শ্যামনগর হাসপাতালটি করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এখানে  প্রয়োজনীয় লোকবল সহ যন্ত্রপাতির  অভাবে ভেঙ্গে পড়েছে চিকিৎসা ব্যবস্থা।

হাসপাতালটিতে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, করোনা রোগীদের জন্য পাঁচটি বেড প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। স্বাভাবিক অক্সিজেন সিলিন্ডার থাকলেও সেন্ট্রাল অক্সিজেন ও হাইফ্লোনেজাল ক্যানুলা না থাকায় করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া যাচ্ছে না। গত ১ সপ্তাহে শ্যামনগর হাসপাতালে করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে প্রায় ১০০ জন। আর মৃত্যু বরন করেছে দুই জন। আইলা বিধ্বস্থ অবহেলিত এ জনপদের সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

শ্যামনগর  হাসপাতালটি ২০০৮ সালের ১৫ মে ৩০ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নিত হয়। হাসপাতালটি ৩০ শয্যা থাকাকালিন যে সুবিধা ছিল ৫০ শয্যার ক্ষেত্রেও একই সুবিধা। হাসপাতালে প্রতিনিয়ত এক’শ রোগী ভর্তি থাকে। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সুবিধা থাকলেও লোক বলের অভাবে সেগুলি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। যার কারণে গরীব রোগীদের বিভিন্ন ক্লিনিক সহ জেলা শহরে ছুটতে হয়। সে ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সহ নানা বিড়ম্বনার শিকার হয়ে অকালে মৃত্যুবরণ করতে হয় অনেক রোগীকে। পরীক্ষা নিরিক্ষার জন্য সব ধরণের সবিধা থাকলেও সে গুলো অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। লোকবলের অভাবে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে হাসপাতালটি।

শ্যামনগর হাসপাতালে ডাক্তারদের পদের সংখ্যা ৩৩ হলেও ডাক্তার আছেন মাত্র আট জন। সেবিকা ২৫ জন থাকার স্থলে আছে ১২ জন। এছাড়া শ্যামনগর হাসপাতালে বিভিন্ন শ্রেণীতে পদ খালি আছে ৭২জন। উপজেলা সদরসহ প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রতিদিন ২ থেকে ৩ শতাধিক রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে এসে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা (টিএইচএ) ডাক্তার অজয় কুমার সাহা জানান, করোনা রোগীদের অক্সিজেন সার্কুলেশন কমে গেলে, যেই পদ্ধতিতে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয় বা থ্যারাপী দেওয়া হয়। সেই পদ্ধতিতে হাইফ্লোনেজাল ক্যানুলা হাসপাতালে নেই। আর সেন্টাল অক্সিজেন ছাড়া সম্ভাব্য হাইফ্লোনেজাল ক্যানুলা দেওয়া যায়না। এ দু-টিই হাসপাতালে নেই বলে জানান তিনি। আর লোকবলের অভাবে সঠিক সেবা দেওয়া কষ্টকর। তারপরও আনুসাঙ্গিক জনবল নিয়ে চিকিৎসা সেবা দিতে যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।


এই শ্রেণীর আরো সংবাদ