HEADLINE
সাতক্ষীরায় ১৫টি যানবাহন ও ৬টি মুদি দোকানে জরিমানা সরসকাটি দাখিল মাদ্রাসায় পাতানো নিয়োগ বোর্ড সম্পন্ন দক্ষিণ ফিংড়িতে “শিশু যৌন নির্যাতন ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে তারুণ্য” শীর্ষক পথনাটক সরসকাটি দাখিল মাদ্রাসায় নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ অস্থিতিশীলতার দিকে বর্তমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশ যুবলীগের অঙ্গীকার আসাদুজ্জামান বাবু এমপি হলে সকল মানুষ পাবে উপকার সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই ভারতীয় নাগরিক নিহত, আহত ১ সাতক্ষীরায় গলায় ফাঁ’স দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহ’ত্যা কলারোয়ায় শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে ইট ভাঙা গাড়ি উল্টে চালকের মৃ’ত্যু বাবুলিয়ায় বি.বি ইটভাটা ধ্বংস, এস.বি.এল ইটভাটাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা
বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:০২ অপরাহ্ন

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে নার্সদের অবহেলায় মাতৃহারা হল দুগ্ধপোষ্য শিশু

ডেস্ক রিপোর্ট / ৩১১
প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২ জুলাই, ২০২১

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নার্সদের অবহেলায় সুমী বেগম (২৪) নামের এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। মা মারা যাওয়ার কারণে দুগ্ধপোষ্য ১০ মাসের শিশুটিও হয়েছে মাতৃহারা। শিশুটির হাহাকারে ভারী হয়ে উঠে হাসপাতাল চত্বর।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টায় এ ঘটনাটি ঘটে। সে উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের মন্নান মিয়ার মেয়ে।
সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে নিহতের স্বজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, বুধবার দুপুরে মৌলভীবাজারের খলিলপুর ইউনিয়নের সরকারবাজার এলাকার এমরান মিয়ার স্ত্রী এক সন্তানের জননী সুমী বেগমের পেটব্যথা দেখা দিলে তাকে নিয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান স্বজনরা। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে মেডিক্যাল টেস্ট শেষ করে হাসপাতালে সাধারণ মহিলা ওয়ার্ডে নিয়ে আসলে তার অবস্থা আশংকাজনক হয়। তা দেখে সুমির মা রাহেনা বেগম ও বাবা মন্নান মিয়া ডিউটিরত ডাক্তার ও সিনিয়র নার্সদের কাছে বারবার উন্নত চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার নিয়ে যেতে তাগাদা দেন। কিন্তু তাদের কথার কর্ণপাত করেননি ডাক্তার-নার্সরা। দুপুর ১২টায় সুমির অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে সিনিয়র নার্স অনিতা সিনহা ও মিডওয়াইফ রত্না মন্ডল তাকে একটি ইনজেকশন পুশ করেন। এরপর থেকেই সুমির আর কোন নড়াছড়া দেখতে না পেয়ে বার বার ডিউটি ডাক্তার মুন্না সিনহা ও নার্সরা বিরক্তিস্বরে রোগী ঘুমিয়ে আছেন, ডিস্টার্ব করবেন না বলে জানান। বিকালেও রোগীর নড়াচড়া না পেয়ে নার্সকে জানালে নার্সরা ডাক্তার মুন্না সিনহাকে নিয়ে আসলে তিনি সুমিকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত সুমির মা রাহেনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ের মৃত্যুর জন্য হাসপাতালের নার্স এবং ডিউটি ডাক্তারই দায়ী। আমরা তাদের বিচার চাই।
তবে ডিউটি ডাক্তার মুন্না সিনহা ও মিডওয়াইফ রত্না মন্ডল জানান, মৃত রোগীর স্বজনেরা আমাদের কাছে রোগীকে রেফারের জন্য বলেনি। আমাদের চিকিৎসার মধ্যে কোন ত্রুটি নেই। প্রয়োজনে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করতে পারেন।
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা: সাজেদুল কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় যদি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কেউ দায়ী থাকে তবে শুক্রবার তদন্তক্রমে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


এই শ্রেণীর আরো সংবাদ