HEADLINE
সাতক্ষীরায় ১৫টি যানবাহন ও ৬টি মুদি দোকানে জরিমানা সরসকাটি দাখিল মাদ্রাসায় পাতানো নিয়োগ বোর্ড সম্পন্ন দক্ষিণ ফিংড়িতে “শিশু যৌন নির্যাতন ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে তারুণ্য” শীর্ষক পথনাটক সরসকাটি দাখিল মাদ্রাসায় নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ অস্থিতিশীলতার দিকে বর্তমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশ যুবলীগের অঙ্গীকার আসাদুজ্জামান বাবু এমপি হলে সকল মানুষ পাবে উপকার সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই ভারতীয় নাগরিক নিহত, আহত ১ সাতক্ষীরায় গলায় ফাঁ’স দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহ’ত্যা কলারোয়ায় শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে ইট ভাঙা গাড়ি উল্টে চালকের মৃ’ত্যু বাবুলিয়ায় বি.বি ইটভাটা ধ্বংস, এস.বি.এল ইটভাটাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা
বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন

বলাডাঙ্গায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এক বৃদ্ধাকে অপহরণের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৩৫৭
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৭ মে, ২০২২

জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে মামলা তুলে নিতে এক বৃদ্ধাকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সকাল সাতটার দিকে তাকে সাতক্ষীরা সদরের চুপরিয়া গ্রামের আব্দুল হামিদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে পুলিশের সহায়তায় ওই বৃদ্ধাকে ছয় ঘণ্টা পর মুক্তি দেওয়া হলেও তার কাছে থাকা ২৪ হাজার ৭০০ টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি। সাতক্ষীরা সদরের বলাডাঙ্গা গ্রামের হযরত আলী গাজীর স্ত্রী মাছুরা বেগম (৬০) জানান, ১৯৮২ ও ১৯৮৫ সালে দু’টি দলিল মূলে ৪৮ শতক জমি কেনেন। ওই জমির একাংশ তিনি বিক্রিও করেছেন। এরপরও একই এলাকার মুনসুর আলী গাজী ও তাদের সন্তানরা কৌশলে ওই জমির একটি অংশ কোন কাগজপত্র ছাড়াই বর্তমান মাঠ জরিপে তাদের নামে রেকর্ড করে নেন। রেকর্ডের বিষয়টি তিনি জানতে পেরে মামলা করতে গেলে মুনসুর ও তার ছেলেরা তাকে ও তার ছেলে লিয়াকতকে বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করে বিতাড়িত করে দেয়। আট লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে নেয় তারা। এ ঘটনায় লিয়াকত বাদি হয়ে মুনসুর ও তার ছেলেদের নামে আদালতে মামলা করে। মামলাটি বর্তমানে পিবিআইতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য রয়েছে। এরপরও ওই জমি জবরদখল রোধে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পিটিশন ৪৭৩/২১ নং মামলা করেছে। আদালত প্রতিপক্ষদের শমন জারির নির্দেশ দিলেও তারা অদ্যাবধি আদালতে হাজির হয়নি। এমনকি তারা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তাকে ও লিয়াকতকে বিভিন্ন সময়ে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এরই ধারা বাহিকতায় মঙ্গলবার সকালে চুপড়িয়া গ্রামের আব্দুল হামিদের বাড়িতে ১০ বস্তা ধান কিনতে গেলে মুনছুরের পরিবারের এক মেয়েকে বিয়ে করা তার ছোট ছেলে শওকত, নরিম সরদারের ছেলে পলাশ সরদার, মুনসুর সরদারের ছেলে সালাম ও কালাম সরদার জোর করে তুলে নিয়ে সাবেক ইউপি সদস্য মাদকাসক্ত সুমন সানার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে একটি গোয়ালঘরে তাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। তাকে মারপিটের পর কাছে থাকা ধান কেনার ২৪ হাজার ৭০০ টাকা পলাশ সরদার কেড়ে নেওয়ার পর মামলা তুলে নেওয়া ও জমি লিখে দেওয়ার জন্য কয়েকটি অলিখিত স্ট্যাম্পে সাক্ষর করিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। হামিদের ছেলে মামুনের কাছ থেকে খবর পেয়ে ছেলে লিয়াকত সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ গোলাম কবীরের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন। থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কথামত উপপরিদর্শক সাইফুল ইসলাম স্থানীয় বর্তমান ইউপি সদস্য বাবলু সরদারকে বিষয়টি অবহিত করলে দুপুর একটার দিকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে তার টাকা ফেরৎ দেয়নি পলাশ সরদার। সাতক্ষীরা সদর থানার উপপরিদর্শক সাইফুল ইসলাম জানান, মাছুরা বেগমকে মুক্ত করার পর উভয়পক্ষকে মঙ্গলবার বিকেলে থানায় ডাকা হয়েছে। মুনসুর গাজী, শওকতসহ অন্যরা মাছুরার জমি জবরদখলের চেষ্টা করলে সেটা মেনে নেওয়া হবে না। পুলিশের পক্ষ থেকে মাছুরাকে সব ধরণের সহায়তা করা হবে।


এই শ্রেণীর আরো সংবাদ