HEADLINE
রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় একদিনেই সাতক্ষীরায় পেঁয়াজের দাম দ্বিগুন সাতক্ষীরায় ফের একই পরিবারের ৪ জনকে অজ্ঞান করে সর্বস্ব লুট আসুন সবাই মিলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে সহিংসতা দূর করি সাতক্ষীরায় ১৫টি যানবাহন ও ৬টি মুদি দোকানে জরিমানা সরসকাটি দাখিল মাদ্রাসায় পাতানো নিয়োগ বোর্ড সম্পন্ন দক্ষিণ ফিংড়িতে “শিশু যৌন নির্যাতন ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে তারুণ্য” শীর্ষক পথনাটক সরসকাটি দাখিল মাদ্রাসায় নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ অস্থিতিশীলতার দিকে বর্তমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশ যুবলীগের অঙ্গীকার আসাদুজ্জামান বাবু এমপি হলে সকল মানুষ পাবে উপকার সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই ভারতীয় নাগরিক নিহত, আহত ১
রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৪৮ অপরাহ্ন

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি কমাতে উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জরুরি

বিপ্লব কুমার মজুমদার / ১৭৩
প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

বিপ্লব কুমার মজুমদার: আমাদের দেশে বর্তমানে বহুল আলোচিত একটি বিষয় হলো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এটা শুধু আমাদের দেশের সামস্যা নয় , এটা বর্তমানে একটা বিশ্বব্যাপী সমস্যা। অতিরিক্ত জনসংখ্যা ও উন্নত দেশসমূহের মধ্যে পরস্পর বিরোধী অবস্থান ও বানিজ্যিক অস্থিরতা এবং দেশীয় পর্যায়ে স্থানীয় মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম ঊর্ধ্বেমুখহয়ে উঠেছে। ফলে সাধারণ মানুষের জনদুর্ভোগ বেড়ে গেছে।
যে হারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, সাধারণ মানুষের আয় সেই হারে বাড়ছে না।এরফলে কৃষক থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একধরনের অস্থিরতা কাজ করছে।নিন্মআয়ের মানুষের দুর্ভোগের মাত্রা ধৈর্যের সীমাকে অতিক্রম করে চলেছে। অবশ্য সরকারের দেওয়া পারিবারিক ভর্তুকি কার্ড নিঃসন্দেহে ভালো উদ্যোগ, যা প্রসংসার দাবি রাখে। একশ্রেণীর মধ্যস্বত্বভোগী নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারকে অস্থির করে তুলেছে। তবে বর্তমান সরকারের বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা এই মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম অনেকটাই কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে সরকারের আন্তরিকতার ফলে।তবে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করতে হবে এবং নিয়মিত অব্যাহত রাখাতে হবে। সরকারের পাশাপাশি জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও জনসচেতনতার মধ্য দিয়ে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্মকে রুখে দিতে হবে। তবে সর্বাগ্রে আমাদের উৎপাদন ব্যবস্থাকে বাড়াতে হবে। কারণ অধিক পরিমাণ উৎপাদনের মাধ্যমে আমরা নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধিকে হ্রাস করতে পারবো। এজন্য উৎপাদন ব্যবস্থার দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। আমাদের এক ইঞ্চি জমিও যেনো অনাবাদী না থাকে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।এমনকি আমরা শহরে বাড়ির ছাদে ছাদ বাগান সহ সবজি উৎপাদন করতে পারি,যা পরিবার ও দেশের জন্য সহায়ক হবে।অধিক উৎপাদনের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি কমিয়ে আনা সম্ভব। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে কৃষক যদি তাঁর উৎপাদিত দ্রব্যের সঠিক মূল্য না পায় তাহলে তিনি উৎপাদনে আগ্রহ হারাবেন। বর্তমানে একটা বিষয় দেখা যায় যে, একজন কৃষকের চেয়ে একজন মধ্যস্বত্বভোগী বেশি লাভ করে । এ ব্যাপারে সরকারকে পদক্ষেপ গ্রহণ করার পাশাপাশি আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে। সেই সাথে আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী উৎপাদন বৃদ্ধিতে চেষ্টা করে যেতে হবে। তাহলে আমরা নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম মানুষের ক্রয় ক্ষমতার নাগালে রাখতে পারবো বলে আশা করা যায়। আমরা আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে পারবো বলে আশাবাদী ।

লেখক : বিপ্লব কুমার মজুমদার
আশাশুনি, সাতক্ষীরা


এই শ্রেণীর আরো সংবাদ