HEADLINE
অস্থিতিশীলতার দিকে বর্তমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশ যুবলীগের অঙ্গীকার আসাদুজ্জামান বাবু এমপি হলে সকল মানুষ পাবে উপকার সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই ভারতীয় নাগরিক নিহত, আহত ১ সাতক্ষীরায় গলায় ফাঁ’স দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহ’ত্যা কলারোয়ায় শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে ইট ভাঙা গাড়ি উল্টে চালকের মৃ’ত্যু বাবুলিয়ায় বি.বি ইটভাটা ধ্বংস, এস.বি.এল ইটভাটাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা কাদাকাটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমি কর্মকর্তা ৮ মাস অনুপস্থিত সাতক্ষীরা-৪ আসনে নৌকার মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা বাবলুর রহমান সাতক্ষীরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হয়ে মা-ছেলে আহত দেবহাটা নির্বাচন অফিস পরিদর্শন করলেন জেলা প্রশাসক
বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:২৫ অপরাহ্ন

জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা, শিক্ষককে দায়ী করছেন স্বজন ও সহপাঠীরা

জবি প্রতিনিধি / ৫৪০
প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২২ অক্টোবর, ২০২১

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া মেহজাবিন স্বর্ণার আত্মহত্যায় বিভাগের শিক্ষককে দায়ী করছেন তার বোন ও সহপাঠীরা। বুধবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ওই শিক্ষার্থী তার গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পলাশ পোল মধুমাল্লার ডাঙ্গী গ্রামে আত্মহত্যা করেন। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতক্ষীরা থানার সাব-ইনস্পেক্টর শরীফুল ইসলাম বলেন, সদর হাসপাতাল থেকে বেলা দুইটার দিকে আমাদের স্লিপ দেওয়া হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে আমরা গিয়েছি। পরিবার থেকে আমাদের জানিয়েছে, গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দেন ওই শিক্ষার্থীর বোন সাদিয়া মেহজাবিন স্বর্ণা। তিনি লিখেছেন, ‘আর কত? আর কত? সবচেয়ে পরিশ্রমী, মেধাবী বাচ্চাটা সবচেয়ে কম নম্বর কী করে পায়? ২ মাস আগে জমাকৃত অ্যাসাইনমেন্ট কিভাবে হারিয়ে ফেলে? আর সেটা জমা দেওয়ার জন্য কিভাবে ৩০ মিনিট সময়কে যথার্থ মনে করা হয়? সবচেয়ে সুন্দর কথা বলা বাচ্চাটা কিভাবে হতাশায় বোবা হয়ে যায়? সবচেয়ে সুন্দর স্বপ্নগুলো কিভাবে মলিন হয়ে যায়? আমার বাইকার, স্পিকার, স্বতঃস্ফূর্ত বাবুটা কিভাবে নিশ্চুপ হয়ে গেলো? জবাব চাই।’

এ বিষয়ে সাদিয়া মেহজাবিন সাথী বলেন, আমার বোন খুবই ভালো ছিল। পড়াশোনায়ও খুবই ভালো ছিল। কিন্তু বিভাগের একজন শিক্ষক ওকে ভালো নাম্বার দিতেন না। তাছাড়া ওর বুধবার রাতেই ঢাকা চলে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সে যেতে চাচ্ছিল না, ফলাফল আবারো খারাপ হবে এই ভয়ে। সাথী আরও বলেন, আমার বোন একটি বিষয়ে ২ মাস আগে অ্যাসাইনমেন্ট দিয়েছিল বিভাগের শিক্ষক আয়শা সালেহকে। কিন্তু তিনি সেটি হারিয়ে ফেলেন। এরপর ২ মাস পরে তিনি আবারও ওই অ্যাসাইনমেন্ট চান মাত্র ৩০ মিনিট সময়ের মধ্যে। ততদিনে সেও এটা হারিয়ে ফেলেছিল। সেই শিক্ষকের কোর্সে সে ২০ নম্বরের মধ্যে মাত্র ৬ পেয়েছিল। এতেই তার ডিপ্রেশন আরও বেড়ে যায়। তিনি বলেন, তার অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে তার বন্ধুরা ভালো ফলাফল করলেও তার নম্বর সবসময়ই কম থাকে। বিভাগের শিক্ষকদের কয়েকজন তার পোশাক নিয়েও কথা বলতেন।
 স্বর্ণার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সহপাঠী বলেন, বিভাগের শিক্ষকদের মধ্যে ‘দেখে নেয়ার প্রবণতা’ ছিল অনেক বেশি। যে কারণে অজানা কারণে তার ফলাফল খারাপ হতো। স্বর্ণা আমাদের মধ্যে সবচেয়ে ক্রিয়েটিভ ছিল। কিন্তু তার ফলাফল সবসময়ই খারাপ হতো। এ জন্য সে অনেক বেশি ডিপ্রেসড  ছিল। এজন্য সে আত্মহত্যা করতে পারে বলে ধারণা করছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক আয়েশা সালেহ বলেন, আমার কোর্সে সে ২০ এর মধ্যে ৮ পেয়েছে। সে আরও অন্যান্য শিক্ষকের পরীক্ষাতেও খারাপ করেছে। তার সঙ্গে আমার খারাপ সম্পর্কও ছিল না। তাছাড়া তার পোশাক নিয়েও আমি কোনও কথা বলিনি। যারা এসব কথা বলছেন তারা আবেগে বলছেন।
বিভাগের অনেক শিক্ষার্থী এমন অভিযোগ করছেন কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি যে ‘ফিসক্যাল ল’ পড়াই। এটি বেশ কঠিন একটি বিষয়। এটায় গণিত আছে, তাই অনেকে খারাপ করে।
বিভাগের চেয়ারম্যান খ্রীস্টিন রিচার্ডসন বলেন, কোনও শিক্ষার্থী শিক্ষক দ্বারা এমন হয়রানির শিকার হলে আমাকে তো কেউ অভিযোগ করেনি। এমন কিছু হওয়ার কথা না।


এই শ্রেণীর আরো সংবাদ