যশোরের কেশবপুরে এক চা বিক্রেতা খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে ৮ বছরের শিশুকে যৌন নিপীড়ন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই শিশুর রক্ত ক্ষরণ হওয়ায় তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। ঘটনাটি ৩ দিন হয়ে গেলেও আটক হয়নি কেউ।
এলাকাবাসি ও পুলিশ জানায়, উপজেলার কালিয়ারই গ্রামের ঘোলপুকুর পাড়ার গোলাপ খার ছেলে আজিবার রহমান (৪০) পেশায় একজন চা বিক্রেতা। গত ১৩ মে বেলা ১১ টায় সে পার্শ্ববর্তী জামালগঞ্জ বাজারের চায়ের দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যায়। এ সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সে পাশের এক শিশুকে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে ঘরের মধ্যে নিয়ে যৌন নিপীড়ন করে। নিপীড়নের কারণে তার রক্ত ক্ষরণ শুরু হয়। এক পর্যায়ে তার কান্নার আওয়াজে এলাকাবাসি ছুটে এলে লম্পট আজিবার পালিয়ে যায়। স্বজনরা শিশুটিকে উদ্ধার করে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। কিন্তু তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সন্ধ্যায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। পরের দিন কেশবপুর থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও ধর্ষক আজিবারকে আটক হয়নি।
এলাকার মেম্বার আলমগীর হোসেন বলেন, শিশুটির মা ঢাকার একটি গার্মেন্ট কোম্পানীর শ্রমিকের চাকরি ছেড়ে ২/৩ মাস আগে বাড়িতে এসেছে। আজিবার সম্পর্কে শিশুটির নানা হয়। পুলিশ ঘটঁনাস্থলে আসলে চেয়ারম্যানের নির্দেশে তিনি ওই বাড়িতে গিয়ে ধর্ষনের খবর জানতে পারেন। সে ক্ষমার অযোগ্য কাজ করেছে।
এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান বলেন, শিশু ধর্ষনের ঘটনায় আজিবারকে আসামী করে গত ১৪ মে থানায় মামলা হয়েছে। যার নং-০৮। ১৫ মে শিশুটির মেডিকেল চেকআপের জন্যে যশোর জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়েছে।