HEADLINE
সাতক্ষীরায় ১৫টি যানবাহন ও ৬টি মুদি দোকানে জরিমানা সরসকাটি দাখিল মাদ্রাসায় পাতানো নিয়োগ বোর্ড সম্পন্ন দক্ষিণ ফিংড়িতে “শিশু যৌন নির্যাতন ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে তারুণ্য” শীর্ষক পথনাটক সরসকাটি দাখিল মাদ্রাসায় নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ অস্থিতিশীলতার দিকে বর্তমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশ যুবলীগের অঙ্গীকার আসাদুজ্জামান বাবু এমপি হলে সকল মানুষ পাবে উপকার সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই ভারতীয় নাগরিক নিহত, আহত ১ সাতক্ষীরায় গলায় ফাঁ’স দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহ’ত্যা কলারোয়ায় শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে ইট ভাঙা গাড়ি উল্টে চালকের মৃ’ত্যু বাবুলিয়ায় বি.বি ইটভাটা ধ্বংস, এস.বি.এল ইটভাটাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা
বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:২৯ পূর্বাহ্ন

কেশবপুরে মাছ সংরক্ষণসহ নানা সমস্যায় পাইকারী মাছের বাজার

উৎপল দে, কেশবপুর / ২৩৬
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১

যশোরের কেশবপুর শহরের পাইকারী মাছ বাজারে মাছ সংরক্ষণের জায়গার অভাবে দূরের ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিন ধরে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এরপরও ওই বাজারের পশ্চিম পার্শ্বের রাস্তাটি দেড়যুগেও পুনসংস্কার না হওয়ায় মাছবাহী গাড়ি চলাচলে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। প্রতিদিন এ বাজারে কোটি টাকার মাছ কেনাবেচা হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পিকাপ করে মাছ যায়।


জানা গেছে, কেশবপুরে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার মাছের ঘেরসহ সমান সংখ্যক পুকুর রয়েছে। এসব ঘেরের উৎপাদিত মাছ ঘের মালিকরা কেশবপুর, চুকনগরসহ বিভিন্ন মাছের পাইকারি বাজারের আড়তে বিক্রি করেন। এই মাছকে ঘিরে কেশবপুর কাঁচা বাজারের পাশে পাইকারি মাছ বাজারে ২১টি মাছের আড়ৎ গড়ে উঠেছে। মাছ বাজারে প্রতিদিন ৪ শতাধিক শ্রমিক শ্রম দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। এছাড়া মাছের ঘেরে ৩০ থেকে ৩১ হাজার শ্রমজীবী লোক রয়েছেন। বাজারে প্রতিদিন ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, খুলনা, যশোরসহ বিভিন্ন এলাকার শতাধিক মাছ ব্যবসায়ী আসেন মাছ কিনতে। বাজার থেকে প্রতিদিন ৮/১০ ট্রাক মাছ লোড হয়ে দেশের বিভিন্ন বাজারে রপ্তানী হয়। কিন্তু এ বাজারে ব্যবসায়ীদের মাছ সংরক্ষেণের কোন জায়গা নেই। মাছ সংরক্ষণের জায়গার অভাবে অনেক ব্যবসায়ী এ বাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন শ্রমিকরা অভিযোগ করেছেন।


মাছ বাজার আড়ৎদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক বুলু বিশ্বাস বলেন, মাছ বাজারে প্রতিদিন কোটি টাকার মাছ বেঁচা-কেনা হলেও বাজারটি বর্তমান নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত। বর্তমান মেয়র প্রধান সড়কটি আরসিসি ঢালাই করলেও বাজারের পশ্চিম পাশের ইটের সোলিং রাস্তাটি অবহেলায় নষ্ট হতে চলেছে। পশ্চিম পাশের রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় ঘেরের মাছ এ বাজারে প্রবেশে ঘের মালিকদের দুর্ভোগসহ তীব্র যানজটে পড়তে হয়। এ সমস্যা নিরসনে সরকারিভাবে একটি মৎস্য আহরণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হলেও সেখানে মাত্র ৩ জন ব্যবসায়ীর মাছ সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। অন্য ব্যবসায়ীদের পরিত্যাক্ত জায়গায় বা খোলা আকাশের নিচে মাছ সংরক্ষণ করতে হয়।


মাছ বাজার আড়ৎদার সমিতির সভাপতি আব্দুল হান্নান বিশ্বাস বলেন, এ বাজারের প্রধান সমস্যা হলো মাছ সংরক্ষণ। এ সমস্যার কারণে দূরের অনেক ব্যবসায়ী এ বাজারে আসতে চায় না। এক্ষেত্রে কসাই খানার উত্তর পাশের পরিত্যাক্ত সরকারি জায়গাটি মৎস্য আহরণের জন্যে সংস্কার করা জরুরী হয়ে পড়েছে। পৌরসভা উদ্যোগ নিলে এ সমস্যার সমাধান হবে।


কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম বলেন, ওই বাজারে যে উন্নয়ন হয়েছে তা তিনিই করেছেন। বাজারের প্রধান সড়ক ইতোমধ্যে আরসিসি ঢালাই কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সাবেক মেয়র মাছ চান্নির কাজ করতে গিয়ে দুর্নীতির কারণে বন্ধ হয়ে যায়। যা তিনি মেয়র হয়েই মাছ চান্নি সংস্কার করেছেন। পর্যায়ক্রমে রাস্তাসহ মৎস্য সংরক্ষণের ব্যবস্থাও করা হবে।


এই শ্রেণীর আরো সংবাদ