HEADLINE
অস্থিতিশীলতার দিকে বর্তমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশ যুবলীগের অঙ্গীকার আসাদুজ্জামান বাবু এমপি হলে সকল মানুষ পাবে উপকার সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই ভারতীয় নাগরিক নিহত, আহত ১ সাতক্ষীরায় গলায় ফাঁ’স দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহ’ত্যা কলারোয়ায় শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে ইট ভাঙা গাড়ি উল্টে চালকের মৃ’ত্যু বাবুলিয়ায় বি.বি ইটভাটা ধ্বংস, এস.বি.এল ইটভাটাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা কাদাকাটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমি কর্মকর্তা ৮ মাস অনুপস্থিত সাতক্ষীরা-৪ আসনে নৌকার মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা বাবলুর রহমান সাতক্ষীরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হয়ে মা-ছেলে আহত দেবহাটা নির্বাচন অফিস পরিদর্শন করলেন জেলা প্রশাসক
বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:২৬ অপরাহ্ন

কেশবপুরের বিল খুকশিয়ায় মাছের ঘেরের বেড়িতে তরমুজ চাষে কৃষকের সাফল্য

উৎপল দে, কেশবপুর / ৮৮৬
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১

যশোরের কেশবপুরের বিল খুকশিয়ার চাষীরা গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন । গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে ভাগ্য বদল হয়েছে অনেক কৃষকের। মাছ চাষের পাশাপাশি তরমুজ চাষ করে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হয়েছে তারা।


আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় প্রথমবারের মত এ আবাদে ভালো ফলন পেয়ে বেশ লাভবান হচ্ছেন তাঁরা। এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে যাচ্ছে গ্রীষ্মকালীন এ তরমুজ। তরমুজ চাষে লাভবান হওয়ায় অনেক কৃষক নতুন করে এ আবাদে ঝুঁকছেন। কৃষি বিভাগসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা তরমুজ আবাদ পরিদর্শন করে চাষীদের এ আবাদে উদ্বুদ্ধ করছেন।


কেশবপুর শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে শ্রীহরি নদীর তীরে অবস্থিত বিল খুকশিয়া। এ বিলের ৬ হাজার ৩৭৫ বিঘা ফসলি জমি দীর্ঘ ২০/ ২২ বছর জলবদ্ধ থাকায় কৃষকেরা ফসল ফলাতে না পেরে দিশেহারা হয়ে পড়েন। বিলের জলবদ্ধতা নিরসন করে ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে ২০০৫ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড শ্রীহরি নদীতে নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে এবং বিল খুকশিয়ার তলদেশ উঁচু করার জন্য জোয়ার-আঁধার (টিআরএম) প্রকল্প গ্রহণ করলেও সফলতা মেলেনি। প্রকল্প শেষে জমির মালিক কৃষকরা বিলটিতে মাছের ঘের তৈরি করেন এবং মাছের ঘেরের বেড়িতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করেন। তরমুজ চাষ করে কৃষকরা ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন।
বিল খুকশিয়ায় গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ ঘেরের বেড়িতে তরমুজ চাষ করা হয়েছে। কৃষক মহসিন উদ্দিন বলেন, তিনি ১৩ বিঘা মাছের ঘেরের বেড়িতে ১ হাজার ৪০০টি তরমুজের মান্দা তৈরি করে ফলন পেয়েছেন ২৭৫ মণ। প্রতি মণ তরমুজ ১ হাজার ২০০ টাকা করে বিক্রি করছেন। তিনি সর্বোচ্চ ১২ কেজি ওজনের তরমুজ পেয়েছেন। গৃধরনগরের তরমুজ চাষী সাইফুল ইসলাম বলেন মাছ চাষের পাশাপাশি ৪ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। এতে আমরা সফল হয়েছি। তার উৎপাদিত তরমুজ আকারেও বেশ বড়। একই গ্রামের কবির হোসেন বলেন ৬ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করে সফল হয়েছি। উৎপাদিত তরমুজ যশোর ,কালীগজ্ঞ, সাতক্ষীরা সহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।


একইভাবে আব্দুল হালিম খান ১২০টি মান্দা তৈরি করে ৩০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন। কৃষক আব্দুল কুদ্দুস ৭ বিঘা ঘেরের বেরিতে তরমুজ চাষ করেছেন।
সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ বলেন, দীর্ঘ ২০/২২ বছর বিল খুকশিয়া জলবদ্ধ হয়ে থাকায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েন। ২০০৫ সালে ওই বিলে টিআরএম প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। প্রকল্প শেষে বিলটিতে কৃষকরা মাছের ঘের তৈরি করেন। ওই সমস্ত ঘেরের বেড়িতে এ বছর কৃষকরা তরমুজ চাষ করে ব্যাপক ফলন পেয়েছেন। ধান, মাছ চাষের পাশাপাশি তরমুজ চাষে কৃষকের মুখে হাসি ফিরেছে।


উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার বলেন, বিল খুকশিয়ায় মাছের ঘেরের বেড়িতে তরমুজ চাষ ওই এলাকার কৃষকদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করছে। এশিয়ান-১, পাকিজা সুপার, বøাক কিং, বøাক কুইং জাতের তরমুজ এখানে বেশি আবাদ করা হয়েছে। এ চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ব করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।


এই শ্রেণীর আরো সংবাদ