HEADLINE
ইছামতি নদীতে জেলের জালে ধরা পড়লো ৩শ কেজির শাপলা মাছ সা’পে কা’মড়ানোর ১৩ দিন পর সাতক্ষীরায় খামার ব্যবসায়ীর মৃ’ত্যু সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাড়াতে হবে নারীর ভূমিকা সাতক্ষীরায় বিপুল পরিমান জন্মনিয়ন্ত্রণ ঔষধ জব্দ, আটক ২ আব্দুল মোতালেব ছিলেন সাংবাদিকতার এক উজ্জ্বল নক্ষত্র সুন্দরবনে পর্যটকসহ সকল ধরনের প্রবেশ ৩ মাসের জন্য বন্ধ সাতক্ষীরা পৌর মেয়র চিশতীকে দায়িত্বভার বুঝিয়ে দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ মায়ের অনুপ্রেরণায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হলেন সাতক্ষীরার মাসুদ রানা সাতক্ষীরার ১০ লক্ষ মানুষ মাছ চাষের উপর নিরর্ভরশীল প্রধানমন্ত্রীর প্রাননাশের হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মুক্তিযোদ্ধাদের বিক্ষোভ সমাবেশ
মঙ্গলবার, ০৬ জুন ২০২৩, ০৩:০১ পূর্বাহ্ন

কলারোয়ায় পলিথিনের ছাউনি জরাজীর্ণ ঘরে জাহাঙ্গীরের মানবেতর জীবনযাপন

হাবিবুল্লাহ বাহার / ৪৮২
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৬ জুলাই, ২০২১

কলারোয়ার জয়নগর ইউনিয়নের ধানদিয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের মাথা গোজার ঠাই না থাকায় মানবেতর জীবন যা।যাপন করছেে। মঙ্গলবার (৬জুলাই) সরেজমিনে ৯নং ওয়ার্ডের ধানদিয়া গ্রামের আহম্মদ আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন(৩০) বাড়িতে ঘুরে দেখা গেছে পলিথিনের ছাউনি ও বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘরটি স্থাপন করা হয়েছে।

লকডাউনে জাহাঙ্গীর হোসেন কর্মহীন হয়ে পড়ায় নিস্ককর্ম পরিবারটি মানবেতর জীবনযাপন করছে।প্রতিবেশি সিরাজুল ইসলাম জানান, জাহাঙ্গীর হোসেন পৈত্রিক সুত্রে কোন জমি পান নি,তার পিতারও কোন ফসলি জমি না,যার কারনে জাহাঙ্গীর হোসেন কোন ফসলী জমি পান নি।তার পরিবারে সদস্য সংখ্যা ২, তিনি এবং তার স্ত্রী।পেশায় জাহাঙ্গীর হোসেন ভাঙ্গাহাড়ির ব্যবসা  করেন। বর্তমানে লকডাউনের কারণে ব্যবসা বন্ধ।কর্মহীন দুই সদস্যোর পরিবারটি বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। সংসারই চলেনা তার উপরে জরাজীর্ণ ঘরটি নিয়ে মুসকিলে পড়েছেন পরিবারটি।একটু বৃষ্টি হলেই ঘরে পানি পড়ে, আসবাপ পত্র সহ বিছানা, কাপড় সব ভিজে যায়।বসবাসের অনুপযোগী ঘরটিতে ভিজেপুড়ে অতি কষ্টে বসবাস করছেন পরিবারটি।আর একটু হালকা ঝড়ো হাওয়া বইলে তো আর কোন কথা থাকে না, ঘরে ছাউনির পলিথিন ছিড়ে সমস্ত ঘর ভিজে একাকর হয়ে যায়।
জাহাঙ্গীর হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,তিনি দীর্ঘদিন ধরে পলিথিনের ছাউনি তলে,বাঁশের বেড়া দিয়ে বসবাস করছেন স্ত্রী কে নিয়ে।ভাঙ্গাহাড়ির ব্যবসা করে সামান্য আয়ে অতি কষ্টে জীবন ধারণ করে বেঁচে আছেন।ফসলের কোন জমি নেই তার,সামান্য আয় খেয়ে পরে বেঁচে আছেন কোন রকমে তার উপর মাথা গোজার ঠাই টুকু করতে পারছেন না।পলিথিনের ছাউনি, বাঁশের বেড়া দিয়ে থাকছেন স্ত্রীকে নিয়ে।তিনি আরও জানান, এলাকার জন প্রতিনিধিদের বলেও কোন সুরাহা হয়নি। উপজেলা সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন তিনি।


এলাকা বাসী সহ জাহাঙ্গীর হোসেনের প্রতিবেশীরা উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের উদ্দেশ্য, করে বলেন সত্তর যেন পরিবারটির মাথা গোজার ঠাই পাই, তার জন্য বিনীত ভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন।বিশেষ করে চলতি বর্ষা মৌসুমে তাদের ঐ ঘরটিতে থাকতে বেশ মুসকিলে পড়তে হয় এমনি জানিয়েছেন। 


এই শ্রেণীর আরো সংবাদ