আদালতের এক আদেশেই নিস্পত্তি হলো ভাড়াটিয়া বিপ্রদাস দেবনাথ ঝন্টুর সাথে মালিক পক্ষ সুমন গংদের দ্বন্দ্ব। ভূমিআপীল বোর্ড কৃর্তক ৯/০৩/২০২২ তারিখের এক আদেশের প্রেক্ষিতে পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ বেগম শনিবার সকালে সরেজমিনে এসে বিষয়টি নিস্পত্তি করেন।প্রসঙ্গত, কপিলমুনি বাজারের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত নাছিরপুর মৌজার এস এ ২৯৫/৫ নং খতিয়ানের ৪৩২ দাগে দোকান শ্রেনীতে ০.০৩ একর রেকর্ডীয় সম্পত্তির একক মালিক হরিঢালী ইউনিয়নের উত্তর সলুয়া গ্রামের মৃতঃ আঃ জব্বার সরদারের স্ত্রী রোকেয়া খাতুন। এরপর ১৯৮৫- ৮৬ সালে উক্ত সম্পত্তি সরকার বাহাদুরের অনুকুলে পেরিফেরী ভুক্ত হলে রেকর্ডীয় মালিক রোকেয়া খাতুন আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই সরকারের নিকট থেকে ডিসিআর গ্রহণ করে সন সন ইজারা প্রদান করে আসছে। এমনকি বাংলা ১৪২৬ সাল পর্যন্ত ভোগ দখল করে আসছে। এরইমধ্যে তালা থানার গংগারামপুর গ্রামের মৃতঃ বসন্ত দেবনাথের পুত্র বিপ্রদাস দেবনাথ ব্যবসা করার সুবাদে ১৪২১ সালের ১ ফাল্গুন থেকে ১৪২৮ সালের ৩০ মাঘ মাস পর্যন্ত রোকেয়া খাতুনের পক্ষে সরদার মোঃ রফিকুল ইসলামের সাথে ভাড়ায় লিখিত চুক্তিবদ্ধ হয়। কিন্তু পরবর্তীতে পেরিফেরীভুক্ত জমি দেখে বিপ্রদাস নিজের নামে একসনা বন্দোবস্ত (ডিসিআর) নেওয়ার জন্য আবেদন করলে বাধে-বিপত্বি। এমতাবস্থায় ভূমি আপীল বোর্ডের কাছে বিপ্রদাস দেবনাথ কৃর্তক ২০২১ সালের ৪-১২৬ নং মামলার ৯/০৩/২০২২ তারিখের এক আদেশের প্রেক্ষিতে পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ বেগম শনিবার (১৯ মার্চ) সরেজমিনে কপিলমুনি বাজারে আসেন। এরপর ভাড়াটিয়ার সাথে মালিক পক্ষের মূলত দ্বন্দের বিষয়টি অবগত হন। একপর্যায়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গের মধ্যস্থতায় আদালতের আদেশের আলোকে বিষয়টি নিস্পত্তি করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়ার্দ্দার, পাইকগাছা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউর রহমান, ব্যবসায়ী সাধন কুমার ভদ্র, কপিলমুনি ফাঁড়ি পুলিশের এসআই আব্দুল আলীম, ইউপি সদস্য রবিন অধিকারী, রফিকুল হাওলাদারসহ সাংবাদিক, বাজার ব্যবসায়ী ও সুধী সমাজের নেতৃবৃন্দ।