HEADLINE
সাতক্ষীরায় কিশোর গ্যাংয়ের হাম’লায় কিশোরের মৃ’ত্যু লিবিয়ায় প্রবাসীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি, অভিযোগ করে বিপাকে পরিবার সাতক্ষীরায় প্রায় ৩ কোটি টাকার এলএসডি ও হেরোইনসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে সাড়ে ৩শ’ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ইছামতি নদীতে জেলের জালে ধরা পড়লো ৩শ কেজির শাপলা মাছ সা’পে কা’মড়ানোর ১৩ দিন পর সাতক্ষীরায় খামার ব্যবসায়ীর মৃ’ত্যু সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাড়াতে হবে নারীর ভূমিকা সাতক্ষীরায় বিপুল পরিমান জন্মনিয়ন্ত্রণ ঔষধ জব্দ, আটক ২ আব্দুল মোতালেব ছিলেন সাংবাদিকতার এক উজ্জ্বল নক্ষত্র সুন্দরবনে পর্যটকসহ সকল ধরনের প্রবেশ ৩ মাসের জন্য বন্ধ
শুক্রবার, ০৯ জুন ২০২৩, ০৬:০৭ অপরাহ্ন

আম চুরির অপবাদে শিশু শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পেটালো মাদরাসার হুজুর

দেবহাটা প্রতিনিধি / ২৩৭
প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৪ মে, ২০২২

সাতক্ষীরার দেবহাটায় একটি হাফিজিয়া মাদরাসার হুজুরের বেদম প্রহারে মাসুম বিল্লাহ (১২) নামের এক হাফেজ শিশু শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আহত শিশুটি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দক্ষিন আলীপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলী গাজীর ছেলে। তাকে দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার রাতে উপজেলার ঘলঘলিয়া রহিমপুর হাফিজিয়া মাদরাসায় শিশু মাসুম বিল্লাহকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম করেন ওই মাদরাসারই হুজুর মুরাদুল ইসলাম। মারপিটের পর সারারাত চিকিৎসা না দিয়ে উল্টো আহতবস্থায় শনিবার সকালে শিশুটিকে মাদরাসা থেকে বের করে দেন হুজুর মুরাদুল। পরে শিশুটির বাবাসহ পরিবারের লোকজন মাদরাসায় গেলে অভিযুক্ত হুজুর মুরাদুল আত্মগোপন করেন।
নির্যাতিত শিশুর বাবা মোহাম্মদ আলী গাজি বলেন, মাসুম বিল্লাহকে কোরআনের হাফেজ হিসেবে গড়ে তুলতে প্রায় দুবছর আগে দেবহাটার ঘলঘলিয়া রহিমপুর হাফিজিয়া মাদরাসায় ভর্তি করাই। প্রতিমাসে ছেলের সাথে দেখা করতে গিয়ে মাদরাসার খরচ বাবদ হুজুর মুরাদুলের কাছে কিছু কিছু টাকাও দিয়ে যাই। বুধবার ঝড়ে গাছ থেকে পড়া দুটি আম কুড়িয়ে আমার ছেলে মাসুম বিল্লাহ তার বাক্সে রাখে। বৃহষ্পতিবার আমার শিশু সন্তানকে চুরির অপবাদ দিয়ে দূর্ব্যবহারসহ তাকে মাদরাসা ছেড়ে চলে যেতে বলেন হুজুর মুরাদুল। কিন্তু পড়াশুনা বাদ দিয়ে আমার ছেলে মাদরাসা ছেড়ে চলে না যাওয়ায় শুক্রবার রাতে হুজুর মুরাদুল আমার ছেলেকে মাদরাসায় ফেলে লাঠি দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে জখম করে। তিনি অভিযুক্ত ওই মুরাদুল ইসলামের দৃষ্টান্ত মূলোক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নির্যাতিত শিশুর পরিবারের সদস্যরা দেবহাটা থানায় উপস্থিত হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করছিলেন।
শিশুকে নির্যাতনের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মাদরাসার হুজুর মুরাদুল ইসলামের সাথে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এমনকি তিনি আত্মগোপনে থাকায় মাদরাসাতে গিয়েও খুঁজে পাওয়া যায়নি তাকে।


এই শ্রেণীর আরো সংবাদ