HEADLINE
সাতক্ষীরায় কিশোর গ্যাংয়ের হাম’লায় কিশোরের মৃ’ত্যু লিবিয়ায় প্রবাসীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি, অভিযোগ করে বিপাকে পরিবার সাতক্ষীরায় প্রায় ৩ কোটি টাকার এলএসডি ও হেরোইনসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে সাড়ে ৩শ’ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ইছামতি নদীতে জেলের জালে ধরা পড়লো ৩শ কেজির শাপলা মাছ সা’পে কা’মড়ানোর ১৩ দিন পর সাতক্ষীরায় খামার ব্যবসায়ীর মৃ’ত্যু সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাড়াতে হবে নারীর ভূমিকা সাতক্ষীরায় বিপুল পরিমান জন্মনিয়ন্ত্রণ ঔষধ জব্দ, আটক ২ আব্দুল মোতালেব ছিলেন সাংবাদিকতার এক উজ্জ্বল নক্ষত্র সুন্দরবনে পর্যটকসহ সকল ধরনের প্রবেশ ৩ মাসের জন্য বন্ধ
শুক্রবার, ০৯ জুন ২০২৩, ০৬:২২ অপরাহ্ন

আজ মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৮তম জন্মবার্ষিকী

উৎপল দে, কেশবপুর / ৩৯৮
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২২

আজ মঙ্গলবার (২৫ জানুয়রি) বাংলা সাহিত্যে অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৮তম জন্মবার্ষিকী। বাংলা সাহিত্যের নবজাগরণের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব ছিলেন মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত। মহাকবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকেলে যশোর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সাগরদাঁড়ির মধুকবির জন্মবার্ষিকী ভার্চুয়ালের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন যশোর জেলা প্রশাসক মোঃ তজিমুল ইসলাম খান। এছাড়া মধুকবির জীবনীর ওপর জুমের মাধ্যমে আলোচনা সভা ও কবিতা আবৃত্তির আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠান শুরুর আগে মধুকবির আবক্ষেমূতিতে পুষ্পমাল্য অপর্ণ করা হবে। মহামারি করোনা সংক্রমণের কারণে এবার কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সাগরদাঁড়িতে সপ্তাহব্যাপী মধুমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোরের কেশবপুর উপজেলার কপোতাক্ষ নদের তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রামের বিখ্যাত দত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত। তার বাবা জমিদার রাজনারায়ণ দত্ত আর মা জাহ্নবী দেবী। মধুসূদন দত্ত ছোটবেলায় কলকাতা যান। খিদিরপুর স্কুলে দুইব ছর পড়ার পর ১৮৩৩ সালে তিনি হিন্দু কলেজে ভর্তি হন। বাংলা, ফরাসি ও সংস্কৃত ভাষায়ও শিক্ষা লাভ করেন।১৮৪৪ সাল থেকে ১৮৪৭ সাল পর্যন্ত তিনি কলকাতার কলেজে অধ্যায়ন করেন। সেখানে তিনি গ্রিক, ল্যাটিন ও সংস্কৃত ভাষা শেখেন। তিনি মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হাইস্কুলে শিক্ষকতা করেন। মাদ্রাজ থেকে প্রকাশিত পত্রিকা মাদ্রাজ ¯েপক্টেটর এর সহকারী স¤পাদকেরও দায়িত্ব পালন করেন। ১৮৬২ সালের ৯ জুন ব্যারিস্টারি পড়ার জন্য তিনি বিলেত যান। ১৮৬৬ সালে তিনি ব্যারিস্টারি পাশ করেন।মাইকেল মধুসূদন বাংলা ভাষায় সনেট ও অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক ছিলেন। তিনি বাংলা সাহিত্যের পাশাপাশি ইংরেজি সাহিত্যেও অসামান্য অবদান রাখায় বিশ্ববাসী এই ধীমান কবিকে মনে রেখেছেন। পাশ্চাত্যের প্রতি আকর্ষণে মধুসূদন ১৮৪৩ সালে খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত হয়ে মাইকেল উপাধি ধারণ করেন। তিনি ইংরেজদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এটি রচনা করলে গ্রন্থটি তৎকালীন ইংরেজ সাহিত্যিকদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করে। মধুসূদন থাকলে তাদের সাহিত্যকর্ম স্থান পাবে না এই সংশয় ইংরেজ সাহিত্যিকদের মাঝে প্রকটভাবে দানা বাধতে থাকে।ইংরেজি সাহিত্যে তার কীর্তির যথাযথ মূল্যায়ন না হওয়ায় তিনি মনক্ষুন্ন হয়ে পড়েন। তখনই বুঝতে পারেন শেকড় ভোলার জ্বালা। ইংরেজি সাহিত্য থেকে ছিটকে পড়ে বন্ধু মহলের পরামর্শে মধুসূদন বাংলাভাষায় সাহিত্য রচনায় মনোনিবেশ করেন। তিনি বাংলা সাহিত্যে উপহার দেন শর্মিষ্ঠা, পদ্মাবতী, তিলোত্তমা সম্ভব কাব্য, কৃষ্ণকুমারী, মেঘনাদবধ কাব্য, ব্রজঙ্গনা কাব্য, বীরঙ্গনা কাব্য, চতুর্দশদপদী কবিতাবলী, হেক্টরবধ এর মতো বিখ্যাত সাহিত্যকর্ম। মধুসূদন দত্ত নাট্যকার হিসেবেই প্রথম বাংলা সাহিত্যের অঙ্গনে পদার্পণ করেন। ১৮৫৯ সালে তিনি রচনা করেন শর্মিষ্ঠা নাটক। এটিই প্রকৃত অর্থে বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম মৌলিক নাটক।১৮৬০ সালে রচনা করেন বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ এবং পূর্ণাঙ্গ পদ্মাবতী নাটক। পদ্মাবতী নাটকেই তিনি প্রথম অমিত্রাক্ষর ছন্দ ব্যবহার করেন। একের পর এক রচনা করেন মেঘনাদবধ কাব্য(১৮৬১) কৃষ্ণকুমারী নাটক (১৮৬১) ,বীরাঙ্গনাকাব্য (১৮৬২), চতুর্দশপদী কবিতা (১৮৬৬)। মধুসূদনের শেষ জীবন চরম দুঃখ ও দারির্দ্যের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয়। মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবনের শেষজীবন খুবই অর্থকষ্টে ও অভাব অনটনের মধ্যে কাটাতে হয়েছে। আলিপুর জেনারেল হাসপাতালে সেখানেই ২৯ জুন ১৮৭৩ সালে তিনি শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করেন।
কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন বলেন, করোনা সংক্রমণের কারণে ভার্চুয়ালের মাধ্যমে আজ মঙ্গলবার বিকেলে মধুকবির জন্মবার্ষিকী উদ্বোধন করবেন যশোর জেলা প্রশাসক মোঃ তজিমুল ইসলাম খান। ফলে এ বছর সপ্তাহব্যাপী মধুমেলা হবে না।


এই শ্রেণীর আরো সংবাদ